মানসাই পাড়ের গল্প ১২এই গল্পে আমার প্রথম প্রিয় চরিত্র অশতিপর বৃদ্ধচরনদাস। তার গল্প নিয়ে পড়ে আসবো।এই গল্পের আমার দ্বিতীয় প্রিয় চরিত্র নিবাস দাস।ক্লাস সেভেনে পড়লেও বর্তমানে স্কুলে যাওয়ার ঝামেলা নেই সকালে মানসাই চরে গরু চরতে পাঠাতে হয় আবার বিকেলে গরুর পাল বাড়ি ফেরানো । নদীতে জল বেড়েছে বলে কুকুর শিয়ালের অত্যচার নেই চরে, গরু পাহারায়ও থাকতে হয় না সারাদিন । আপাতত মাস তিনচারেকের জন্য ক্রিকেট খেলা বন্ধ। আবার কালিপুজার পর থেকে চরের জল কমলে ক্রিকেট শুরু। আপাতত দুপুরে ভাত খাওয়ার পর বন্ধুদের নিয়ে নদীতে সাতারকাটা ও আরো অনেকে জলখেলা। নিবাসের কোর গ্রুপে আরো পাঁচ জন আছে। মোটামুটিভাবে নিবাসের কথাই মান্যি হয়। যদিও বয়স নিতান্তই নাবালক বলা চলে তবুও ওদের একটা ভালোলাগার পরী আছে। সেও বিকেলে গরু বাড়ি ফেরাতে এই চরেই আসে । এই নিয়ে বাকি বন্ধুরা হাসি ঠাট্টা করতেও ছাড়ে না সুযোগ পেলে।এদের সাত নম্বর বন্ধুর সাথে অতি সম্প্রতি বিচ্ছেদ হয়েছে বিড়ি খাওয়া ধরেছে বলে। নিবাস অন্য বন্ধুদের বলে দিয়েছে বিড়ি খাওয়া খারাপ।ছবির উপরে বাঁদিকে নিবাস