এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে বাড়ির চারিদিক জল থইথই অবস্থা,সবাই ঘরবন্দী।কি মজা আমাদের,কলার ভেলা করে ভাসতে খুব ইচ্ছে করছে(জমিতে কাজ করা পাড়ার কাকারা এই ভেলা বানিয়ে এদিক ওদিক যেতো) বাড়ির মধ্যে সারাক্ষণ খালি খেলা, ভিজে ভিজে ইস্কুলে গিয়ে রেনিডে র মজা নিয়ে জল ছপছপ করে বাড়ি ফিরে মায়ের বকুনির সাথে ঠাকুমার হাতের খিচুড়ি।সামনের পুকুরের জল বাড়ছে,দু একটা সিঁড়ি জেগে আছে আর, বাড়ির ড্রেনের সাথে পুকুর যুক্ত থাকার জন্য উঠোনে মাছ ঘোরাঘুরি করছে,পিসি,ঠাকুমা,কাকুরা কতবার এমন করে মাছ ধরেছে,এই বর্ষায় আমার জীবনের সেরা স্মৃতি এটাই। বাড়ির পিছনের খালটা জল উপচে সব ভাসিয়ে দিয়েছে, এখন ধান জমিতেও মাছ খেলা করছে। একবার এক বর্ষায় আমাদের গোয়ালবাড়ি তে একটা কচ্ছপ উঠে এসেছিল, জানিনা কোথা থেকে সে এলো , আমাদের কি উৎসাহ ছিল তাকে ঘিরে ,তার পরিণতি কি হলো আজ আর মন পড়ছে না। বাবা কাকাদের মধ্যে আলোচনা চলছে জল কতখানি বাড়ছে ,নদীর বাঁধ ভাঙলো কিনা সেই ভেবে তারা আশঙ্কিত, আমাদের ওসব ভাবনা নেই,ঘরবন্দি আমরা সিঁড়ির জানালায় বেড়ে ওঠা লতাপাতা দিয়ে রান্না করতে ব্যস্ত,আর নতুন ওঠা পাটকাঠি দিয়ে একরকম খেলা নিয়ে মেতে আছিআজ আমার কাকা কিছু ছবি পাঠিয়েছে, খুবই আবেগমথিত হয়ে এসব লিখে ফেললাম।আজ শহরের বর্ষায় জমা জলের আতঙ্ক।মন ফিরে পেতে চায় আমার গ্রামের সেই বর্ষাকালকে।শিবপুর, তারকেশ্বর