গত ৯ জুন ২০২১ এই গ্রুপে এই পোস্টটা করেছিলাম, সঙ্গে ছিল ৩টি ছবি, যা আবার এখানে দিলাম:”১৯৭৯ সাল।কলকাতা ময়দানই ফুটবলপ্রেমীদের তীর্থক্ষেত্র তখন।তখনো সল্টলেকে যুবভারতী জন্মাতে বছর পাঁচেক দেরী।ইস্টবেঙ্গল টিমটা সেবার ছিল এইরকম:-গোলরক্ষক – ভাস্কর গাঙ্গুলী, তরুণ বসু আর অমিত গুহ।রক্ষণ – চিন্ময় চ্যাটার্জী, রবীন দাস, শ্যামল ঘোষ, গুরদেব সিং, টমাস ম্যাথু, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য আর সত্যজিত মিত্র।লিঙ্কম্যান – দেবরাজ, প্রশান্ত ব্যানার্জী, কাজল চ্যাটার্জী আর সুবিমল ঘোষ।আক্রমণ – সুরজিত সেনগুপ্ত, মিহির বসু, ডেভিড উইলিয়ামস, মনজিত সিং, অশোক চন্দ, সাব্বির আলি, হরজিন্দার সিং, মীর সাজ্জাদ আর সুভাষ ভৌমিক।অধিনায়ক – প্রশান্ত ব্যানার্জী।কোচ – অরুণ ঘোষ।শুধু ফরোয়ার্ড লাইনটার দিকে তাকান।সুরজিত-মিহির-ডেভিড-মনজিত-অশোক-সাব্বির-হরজিন্দার-সাজ্জাদ-সুভাষ।যে কোন প্রতিপক্ষের “হাড় হিম” করে দেবার জন্য ওটাই যথেষ্ট ছিল।কিন্তু সেবার কোন ট্রফির মুখ দেখেনি ইস্টবেঙ্গল।সত্তর দশকের সবচেয়ে খারাপ ফল সেবারই করেছিল তারা।অন্তর্দন্দ্বর কারণে গোটা টিমটাই অনেকগুলি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হয়ে যায় সেবার, যার পিছনে অনুঘটক ছিলেন একশ্রেণীর কর্তারা।নানা ফ্রন্ট খুলে যায় অন্তর্দন্দ্বর – পাঞ্জাব-বাংলা, পাঞ্জাব-কর্ণাটক, পাঞ্জাব-কেরালা এবং একর্তা-সেকর্তা ইত্যাদি ইত্যাদি।যে কারণে ট্রফিরাও বেঁকে বসে সেবার ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে ঢুকতে।পক্ষান্তরে ইস্টবেঙ্গলের ধারে কাছে আসার মত টিম করতে ব্যর্থ হয়েও মোহনবাগান সেবার চারে চার করে ফেলেছিল – কলকাতা লীগ, শীল্ড, ডুরান্ড আর দার্জিলিং গোল্ড কাপ।শুধু দলগত সংহতিতে ভর করে।শিবাজী ব্যানার্জী-প্রতাপ ঘোষ-সন্তোষ বসু-শ্যামল ব্যানার্জী-সুব্রত ভট্টাচার্য-প্রদীপ চৌধুরী-কম্পটন দত্ত-দিলীপ পালিত (অধিনায়ক)-গৌতম সরকার-প্রসূন ব্যানার্জী-স্বপন নন্দী-মানস ভট্টাচার্য-বিদেশ বসু-শ্যাম থাপা-জেভিয়ার পায়াস-তপন দাস-উলগানাথন-রঞ্জিত মুখার্জী, আলাদা করে এদের কেউ নয়, সেবার আসলে জিতেছিল টিম মোহনবাগান।যদিও কোচ প্রদীপ ব্যানার্জীর সঙ্গে অধিনায়ক দিলীপ পালিতের একটা ঠান্ডা লড়াই চলেছিল সেবার বছরভর এবং অনেক ম্যাচেই দিলীপ পালিত টিমে জায়গা পাননি সেবার।সেই ঠান্ডা লড়াই ছাপিয়েও উঠে এসেছিল টিম মোহনবাগান।অন্তর্দন্দ্ব-র কুফল আর দলগত সংহতি-র সুফল বোঝাতে ১৯৭৯-র দুই বড় ক্লাবের চেয়ে ভাল উদাহরণ বিশ্বে আর কিছু আছে, এটা বিশ্বাস করাতে হলে প্রচুর কাঠখড় পুড়িয়েও কোন লাভ আছে বলে আমার অন্তত: বিশ্বাস হয়না।জীবনের মত ফুটবলও দাবী করে টিমগেম।কারণ, অনেকের কাছেই ফুটবল জীবনের চেয়েও অনেক বড় কিছু।এবং সেই “তাদেরই দলের পিছনে আমিও আছি”।”এবার যেটা বলার, এই লেখাটি কিছুটা এডিট করে, কিছুটা বাদ দিয়ে, কিছুটা অন্য কিছু যোগ করে একটি পোস্ট আজ কেউ করেছেন তার নিজের নামে। কিন্তু কিছু লাইন অবিকৃত থেকে গেছে।যেমন:-১) “অন্তর্দন্দ্ব-র কুফল আর দলগত সংহতি-র সুফল বোঝাতে ১৯৭৯-র দুই বড় ক্লাবের চেয়ে ভাল উদাহরণ”…২) “এতো ভালো দল গড়েও ইস্টবেঙ্গল কিন্তু সেবার কোন ট্রফির মুখ দেখেনি। সত্তর দশকের সবচেয়ে খারাপ ফল সেবারই করেছিল তারা। অন্তর্দন্দ্বর কারণে গোটা টিমটাই অনেকগুলি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হয়ে যায় সেবার, পাঞ্জাব-বাংলা, পাঞ্জাব-কর্ণাটক, পাঞ্জাব-কেরালা এবং একর্তা-সেকর্তা ইত্যাদি ইত্যাদি। যার পিছনে আবার অনুঘটকের কাজ করেছিলেন একশ্রেণীর কর্মকর্তা। । যে কারণে ট্রফিরাও বেঁকে বসে সেবার ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে ঢুকতে।”এগুলো অ্যালাউড হলে তো ভালোই, ভবিষ্যতে আমিও চেষ্টা করতে পারি, “অন্য লেখকের লেখার ছায়া অবলম্বনে” লিখতে।অ্যাডমিনরা, একটু দেখবেন ও জানাবেন।

Published by moon DJ studio

https://wbsfda.org/

Leave a comment

Design a site like this with WordPress.com
Get started