কচু শাক – যেনো আয়রন/লোহার জাহাজ! আছে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ সহ প্রচুর এন্টিএক্সিডেন্ট। কোলন ক্যান্সার সহ নানাবিধ জটিল/সরল রোগের ঝুঁকি কমায়! বাড়িয়ে দেয় উদ্দীপনা, নতুন শক্তি!অত্যন্ত প্রিয় এবং লৌহসমৃদ্ধ বিভিন্ন পুষ্টিগুণে গুণান্বিত এই শাকটা আমেরিকার বাজারে ফ্রেশ পাওয়া খুব দুঃসাধ্য! কচুর মুখি ইন্ডিয়ান দোকানে বস্তায় বস্তায় পাওয়া যায়, কিন্তু এই শাক এর দেখা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আমরা গত ১০ বছরে হয়তো একবারও দেখেছি বলে মনে পড়ে না! কিছু মানুষ বলেন, পাওয়া যায় কালে ভদ্রে, কিন্তু আকাশচুম্বী দাম (প্রতি পাউন্ড প্রায় ৫ ডলার, কেজিতে যা ১২ ডলার বা ১০০০ টাকা+)গত দুই বছর ৭-৮ বর্গফুট একটা বেড বানিয়ে কচুর মুখি লাগিয়ে অনেক কচু শাক খেলাম। এবার বেড বাড়ালাম আরো একটা। অন্য একটা সবজির বেডে এই কচু লাগিয়ে দিলাম। ঘরের সবার আয়রন দরকার, মেয়েদের তো আরো বেশি। আর সবার পছন্দেরও আইটেম এটা।আমাদের ছোট্ট মেয়ে শ্রদ্ধামণি (৫ বছর) সেদিন বলে উঠলো, বাবা, কচু শাক তো অনেক বড় হলো। কবে তুলবে? তুমি খেতে চাও? আমি তো কাউকে দিয়ে দিব ভাবছি – তার কথার টোন বুঝে একটু তাঁতানোর চেষ্টা করা।বাবা, না, আমি কচু খেতে চাই, কচু শাক খেতে চাই। প্লিজ, দিয়ো না। আমি কচু লাইক করি৷ অনেক অনেক! একটু কেঁদেও দিল!তাকে থামিয়ে বললাম, দুইটা বেড করেছি না? একটা তোমার, বাকীটা আমরা সহ সব গেস্টের জন্য!সে দারুণ খুশিতে নাচতে থাকলো!এক বাংলাদেশি ক্লোজ পরিবার কুরবানির মাংস দিয়ে আসলো নিয়ত করে (তাদের উদ্দেশ্য/ত্যাগ কবুল হোক)। কুরবানির মাংস দিতে আসা সেক ভদ্র যুগলকে খালি হাতে না ফিরিয়ে দিলাম এই কচু শাক। মনে যা-ই করুক না কেনো, বুঝায়ে দিলাম এই শাকের গুণাগুণ!