পৃথিবীতে তাদের আবির্ভাব দিবস তারিখটাও “ব্যাক টু ব্যাক”।আরও একটা মিল, দুজনেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্বটা উপভোগ করেছেন তাদের মত করে তাদের সময়ে এবং ভরপুর সাফল্য পেয়েছেন।তবু ৭ই আর ৮ই জুলাই ফেসবুকে এলে কিরকম একটা নরক নরক ফিলিং হয় প্রতিবার।এই ফিলিংয়ের যারা মূল “প্রমোটার”, তাদের জন্য আমার এই চার লাইন আর NDTV Sports-এর সৌজন্যে এই ইংলিশ মিডিয়াম “গল্প হলেও সত্যি”টা।একজনের ছেড়ে যাওয়া ব্যাটন অন্য হাতে,বৃথাই কাটাকাটি করে দুনিয়া এক সাথে।পরস্পরের জন্য তাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা,শ্রদ্ধাটাকেই “শ্রাদ্ধ” বানায় কিছু অতিবোদ্ধা।In Sourav Ganguly’s Tell-All Book, A Mahendra Singh Dhoni Story No One Knows About.Sourav Ganguly played his last international match for India in November 2008. The former India captain’s final outing was the 4th Test against Australia in Nagpur. As the match drew to a close, Mahendra Singh Dhoni asked Dada to lead the side for one final time, as the Indian cricket fans bid goodbye to an iconic batsman and captain. However, there was more to this incident than what played out on our television screens. In his soon to be published autobiography, Ganguly has spilled the beans on what exactly transpired between the two on that day.According to Ganguly, he had refused Dhoni’s offer to lead the side when he first came up with it.”As the match came to a close, Mahendra Singh Dhoni in a surprise gesture asked me to lead. I had rejected his offer earlier in the day, but could not refuse a second time,” Ganguly says in one of the chapters of his book.Interestingly, Ganguly had captained an Indian side for the first time exactly eight years to that day.”Ironically, my captaincy career had begun exactly eight years ago on this very day. I handled the bowling changes and field placements while the last Australian wicket batted,” he said.However, Dada handed the captaincy back to Dhoni after just 3 overs.”But I must admit, at that stage, I found it difficult to focus. So after three overs I handed it back to Dhoni saying, it is your job, MS. We both smiled.”(৭ই জুলাইতে যে বার্থডে উইশটা করেছিলাম, সেটাও উপরের অংশটা দিয়েই শুরু হয়েছিল। তারপরে উইশের পথ বেঁকে গিয়েছিল, ৭ই জুলাইর মত।আপাতত আজ ৮ই জুলাইতে ঢুকছি।)সে ছিল এক মেঘলা, অন্ধকার শনিবার, ২৪ মার্চ ১৯৯০। বেলা দেড়টা নাগাদ এজরা স্ট্রীটের ব্যাঙ্ক শাখা কেটে বছর বত্রিশের এক পরিণত বাঙালী ক্রিকেটপ্রেমী (১৯৭২এ ১৪ বছর বয়সে যে প্রথম রণজি ম্যাচ দেখেছিল এর ১৮ বছর আগে) দৌড় দিয়েছিল ইডেনের দিকে। ১৯৮৯-৯০র রণজি ফাইনাল দেখতে। ২য় দিনের খেলা ছিল সেটা। বাঙলা বনাম দিল্লী। বাঙলার ঘোষিত নেতা ছিলেন সম্বরণ ব্যানার্জী। আর “নাথিং অফিসিয়াল অ্যাবাউট ইট” দৃশ্যমান নেতা ছিলেন অরুণলাল।তার পৌঁছনোর পরে পরেই দিল্লীর ১ম ইনিংস শেষ হয় ২৭৮য়ে, ১০০.৪ ওভার খেলে। কোশেন্ট ২.৭৬। বাঙলা ইনিংস শুরু। খুব ধীরে, কোশেন্টে চোখ রেখে। আজও মনে আছে, ইন্দুভূষণ রায় ফেরেন নিজের ৭ রানে। নামেন অরুণলাল। আর একটু বাদেই নিজের ১১ রানে আউট হয়ে যান প্রণব রায়। ২ উইকেটে ২৩ বাঙলা। জাঁকিয়ে বসছেন দিল্লী পেসার জুটি মনোজ প্রভাকর-অতুল ওয়াসন। এই সময় প্যাভিলিয়ন থেকে বেরিয়ে আসেন ছোট্টখাট্ট এক তখনও ১৮ না ছোঁয়া তরুণ, যার রণজি অভিষেক ম্যাচ ছিল সেটা।তারপর ছোট্ট কিন্তু দীপ্ত একটা ইনিংস। অরুণলালের মাঝপিচে এসে বারবার দেওয়া সাবধানবাণী উপেক্ষা করে ৪টে ৪য়ে সাজানো পাল্টা মার দেওয়া ঝকঝকে ২২, দিনের শেষে। যেটা ঘোষণা করে “আমি এসে গেছি”। ঐ পড়ন্ত বিকেলের বুক চিতিয়ে মার এবং তার দ্বারা প্রভাবিত নাছোড় অরুণলাল-রাজা বেঙ্কট জুড়িই তখন ভারতীয় ক্রিকেটে কুঁকড়ে থাকা বাঙলাকে ৫১ বছর পরে আবার রণজি এনে দেয় কোশেন্টে, ঐ বারবার বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচের শেষে (বাঙলা ২১৬/৪)।ঐ ম্যাচে “আমি এসে গেছি” জানিয়ে দেওয়া ঐ প্রায় ১৮ তরুণ সেদিন এসে গেছিলেন আমারও মনের দরজা খুলে। থেকে যেতে। তার অনেক পরে ১১ জানুয়ারী ১৯৯২য়ে হবে এক ম্যাচের জন্য ভারতের হয়ে একদিন-অভিষেক, তার ৪ বছর পরে ২০ জুন ১৯৯৬য়ে হবে টেস্ট অভিষেক, প্রথম ২ টেস্টে করবেন শতরান, মার্চ ২০০০য়ে হবেন পাকাপাকি অধিনায়ক, গড়াপেটা কলঙ্কর অপমান থেকে অনেক দূরে নিয়ে যাবেন ভারতকে রাহুল-শচীন-কুম্বলেদের নিয়ে, বুক চিতিয়ে দেশে-বিদেশে জেতাটাকেই নিয়ম করে দেবেন, ২০০২য়ের ১৩ই জুলাই ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনাল জিতে (দলের বৃহত্তম স্ট্রাইক রেট থাকবে তারই) লর্ডসের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে শরীর থেকে টিম ব্লেজার খুলে ওড়াবেন, দল থেকে বাদ পড়বেন চ্যাপেল জমানায় নভেম্বর ২০০৫য়ে, টিমে ফিরে আসার জারী থাকা লড়াইর অঙ্গ অ্যাসিডটেস্টসম আসামের বিরুদ্ধে একটি রণজি ম্যাচের পূর্বাহ্ণে গোটা বাংলাকে বেঁধে ফেলবেন তার জন্য প্রার্থনায় এবং সফল হবেন, টিমে ফিরে আসবেন আগুনে পুড়েও ফিনিক্স হয়ে ডিসেম্বর ২০০৬য়ে, শেষ পর্যন্ত চ্যাপেলকেই উড়িয়ে দেবেন, তারপর অবসরেও যাবেন নাগপুরে, ২০০৮য়ের নভেম্বরে, তার আগে ১১৩টি টেস্টে অর্জন করবেন ১৬টি শতরান আর ৩৫টি অর্ধশতরানসহ ৭২১২ রান ও ৩২টি উইকেট, আর ৩১১টি একদিনের ম্যাচে করবেন ২২টি শতরান আর ৭২টি অর্ধশতরানসহ ১১৩৬৩ রান ও নেবেন ১০০টি উইকেট, সিএবি-র যুগ্ম সম্পাদক হবেন জুলাই ২০১৪তে, জুলাই ২০১৫ থেকে হবেন সিএবি-র সভাপতি, ঐ পদে থাকবেন অক্টোবর ২০১৯ অবধি এবং অবশেষে বিসিসিআই সভাপতি হবেন ২৩শে অক্টোবর ২০১৯ তারিখে। এগুলো ছিল, আছে, থাকবে, নিয়মমাফিক।কিন্তু আজও আমার কাছে তিনি মানে ঐ ২৪ মার্চ ১৯৯০-র পড়ন্ত, মেঘলা, প্রায়ান্ধকার, পরাকাষ্ঠার পরীক্ষা নেওয়া ইডেন-বিকেলে মনোজ-অতুলকে পাল্টা মার দেওয়া ৪টে ৪য়ে সাজানো ঝকঝকে সেই ২২, যেটা আজও এক বাষট্টি ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে জানিয়ে যায়, সাহস আর সদিচ্ছা থাকলে সব হয়, এমনকি এই কয়লা কালো দিনকালেও।পঞ্চাশে পা মানে সবে তো শুরু।অসংখ্য তরুণ প্রতিভা তুলে এনে, দলের মূল নিউক্লিয়াস ঠিক রেখে আর সৎ ক্রিকেটের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে “আমরাও পারি” এই রাস্তা দেখানোটা তো আপনার অধিনায়কত্বর সময়েই শুরু হয়েছিল।কখনো পা না পড়া রাস্তাটাকেই সবচেয়ে কঠিন মনে হয়।একবার হেঁটে যাবার পর কঠিন রাস্তা সহজ হয়ে আসে।আপনার সময়ের রূপকথার শুধু একটাই “শর্টকামিংস” ছিল। সেটা হল রূপকথাটার আচমকা একদিন শেষ হয়ে যাওয়া।সৌরভ গাঙ্গুলীর যাবতীয় ক্রিকেটীয় লড়ে নেওয়া উজ্জ্বল উদ্ধার ছিল, আছে আর থাকবে। আর থাকবে যেটা, তা হলো সৌরভের প্রতিটি লড়াইয়ে ভারত, বাংলা আর কলকাতার সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমী তার সঙ্গে খেলেছে।ব্যাট করেছে, বল করেছে, রান বাঁচিয়েছে, ক্যাচ নিয়েছে, অধিনায়কত্ব করেছে।মাঠের চাপ নিয়েছে।কিন্তু খেলা ছাড়ার পরে গত কয়েকবছর ধরে মাঠের বাইরের “অন্য পিচে”র অনাবশ্যক “অন্য খেলা”তে তার সঙ্গে কেউ ছিলনা, চাপ নেবার জন্য।অকথিত সেই সব চাপ অন্যের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তাকে নিতে হয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই।স্বাভাবিকভাবে সেই সব চাপ তাদের স্বভাব অনুযায়ী মাশুল তুলেছে, তার কাছ থেকেই, যেটা শেয়ার করার মতন কেউ কোনদিন ছিলনা তার পাশে।তারই অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হয়ত ঘটে গেছে ২রা জানুয়ারি ২০২১ তারিখে এবং তার পরেও আর একবার।কিন্তু তিনি সৌরভ গাঙ্গুলী।৪৯য়ে দাঁড়িয়ে এই “মৃদু হৃদরোগের” স্পিনকেও তিনি তার ক্রিকেটজীবনের মতই নিশ্চিতভাবেই “বাপি বাড়ি যা” শটে মাঠের বাইরে ফেলে দেবেন, এটাই প্রার্থনা।আর এসময় কিন্তু আবার তিনি পাশে পাবেন ভারত, বাংলা আর কলকাতার সবাইকে।আর ওই অবাঞ্ছিত নোংরা চাপগুলোকেও তিনি আর কাছে ঘেঁষতে দেবেন না, এই সম্ভাবনাও হয়ত বাস্তব হবে এবার।ভালো হয়ে উঠেছেন সৌরভ। এবার চাই, খুব তাড়াতাড়ি তিনি বেঁচে নেবেন নিজের শর্তে, খেলোয়াড় জীবনের মতই।আরও একটি রূপকথা দিনের আলো দেখবে, যেখানে নিজের বাহনের সওয়ার হবেন তিনি নিজেই।শুভ জন্মদিন, বাংলার খেলাধুলোর “বাপি বাড়ি যা রূপকথা” সৌরভ গাঙ্গুলী।(সব ছবি – গুগল)

Published by moon DJ studio

https://wbsfda.org/

Leave a comment

Design a site like this with WordPress.com
Get started