এই যে জগন্নাথকে দেখে মনে হয় এর থেকে ভোলাভালা, আমুদে দেবতা আর দুটো নেই..সারাবছর মন্দিরে বসে ছাপান্ন রকম খাবার খায় আর বছরে একবার ভাইবোনদের নিয়ে রথে করে ঘুরতে বেড়ায়..কিন্তু ব্যাপারটা মোটেই এত সরল নয়, এই জগন্নাথ মূর্তিতে রয়েছে শ্রীরাধার বিরহ, কালীকার জগৎ সৃষ্টির তত্ত্ব, শিবের গম্ভীরতা..তিনি শ্রীমন্দিরে লক্ষ্মীদেবীর সাথে বিষ্ণুরূপে বিরাজমান, রত্নবেদীতে দক্ষিণাকালীর যন্ত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত, আবার সব শক্তিপীঠে যেমন একজন ভৈরব থাকে, পুরীর শক্তিপীঠে বিমলাদেবীর ভৈরব স্বরূপ জগন্নাথ সাক্ষাৎ শিব..(পুরীর মন্দির একটি শক্তিপীঠ,বিশ্বাস এখানে সতীর নাভি পড়েছিল)ইনি বোধ হয় ভারতবর্ষের একমাত্র উপাস্য যার মধ্যে শাক্ত, বৈষ্ণব, শৈবের মিলিত রস আস্বাদন করা যায়.. বাইরে যখন শাক্ত বৈষ্ণব, শৈবের আপন মত বড় প্রতিষ্ঠিত করার লড়াই চলে, তখন শ্রীমন্দিরে সব তত্ত্ব নিজের মধ্যে নিয়ে তিনি আলিঙ্গন করার জন্য সর্বদা দুই হাত বাড়িয়ে থাকেন…জগন্নাথঃ স্বামী নয়নপথগামী ভবতু মে❤