কলকাতার প্রথম স্টিমার যাত্রা💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐ভারতের নদীতে প্রথম স্টিমার চলেছিল সেই ১৮১৯ সালেই। তবে সেটা অযোধ্যায়। তৎকালীন নবাব গাজিউদ্দিন হায়দারের সাধের সেই বাষ্পীয় জলযানটি বানিয়ে দিয়েছিলেন জেশপ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হেনরি জেশপ স্বয়ং। সেটির গতি ছিল ঘণ্টায় সাত-আট মাইল। তখনও স্টিমারে যাত্রী পরিবহণ সাহেবদের কাছে স্বপ্ন। ততদিনে কলকাতায় চোখ পড়েছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির। ধীরে ধীরে কলকাতাতেও আসে বাষ্পীয় জলযান। কিন্তু সেটা মোটেই যাত্রী পরিবহণের জন্য নয়। মূলত পলিমাটি তোলার কাজ চলত তা দিয়ে। যাতে জাহাজ যাতায়াতে সুবিধা হয়। কলকাতায় হুগলি নদীতে প্রথমবার যাত্রী নিয়ে যে স্টিমার চলেছিল বিভিন্ন নথি থেকে জানা যায় তার নাম ‘ডায়না’। ১৮২৩ সালের আজকের দিনে, অর্থাৎ, ১৩ জুলাই খিদিরপুরে কিড অ্যান্ড কোম্পানির জাহাজঘাটা থেকে যাত্রা শুরু করে সেই বাষ্পীয় জলযান। গন্তব্য ছিল খেজুরি, সাগর। কিন্তু শুধু যাত্রী নিয়ে স্টিমারের খরচ উঠত না। তাই বছর দুয়েক পরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিই কিনে নেয় ‘ডায়না’কে। কলকাতার সেই প্রথম স্টিমার রূপ নেয় বাষ্পীয় রণতরীর। প্রথম ইঙ্গ-বার্মিজ যুদ্ধে (১৮২৪-১৮২৬) ব্যবহৃত হয়েছিল ‘ডায়না’। এটিই এখানকার ব্রিটিশবাহিনীর প্রথম বাষ্পীয় রণতরী। ১৮৩০ পর্যন্ত ব্রিটিশ কলকাতার জাহাজঘাটাতেই তৈরি হতো ভারতের যাবতীয় স্টিমার। তবে ইঞ্জিন আমদানি হতো বিলেত থেকে। ঐতিহাসিকদের মতে, জাহাজ শিল্পই হল কলকাতা তথা ব্রিটিশ ভারতের প্রথম ভারী শিল্প। ১৭৬৯ সালে প্রথম জাহাজ তৈরি হয়। তখন থেকে ১৮২১ সালের মধ্যে কলকাতায় নির্মিত হয়েছিল মোট ২৭২টি জাহাজ।